রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার এবং এর সঠিক স্থানে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মোবাইল ফোনের নির্গত রেডিয়েশন এবং আলো ঘুমের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ঘুমের সময় মোবাইল ফোন কেমন দূরে রাখা উচিত, তা নির্ভর করে কিছু বিষয়ের উপর।
মোবাইল ফোন থেকে রেডিয়েশন এবং ঘুমের ক্ষতি
মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন (বিকিরণ) এবং ব্লু লাইট আমাদের শরীরের বায়োলজিক্যাল ঘড়ি বা সারকাডিয়ান রিদমকে ব্যাহত করতে পারে। ফোনের কাছাকাছি থাকলে এই আলো মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, যা ঘুমানোর সময় মেলাটোনিন নামক ঘুমের হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
কত দূরে মোবাইল ফোন রাখা উচিত?
বিশেষজ্ঞরা সাধারণত রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন শরীর থেকে কমপক্ষে ৩-৪ ফুট দূরে রাখার পরামর্শ দেন। এর ফলে মোবাইল ফোনের বিকিরণের প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করা যায়। এছাড়া, ফোনের নোটিফিকেশন বা আলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, তাই ফোনটি যতটা সম্ভব দূরে রাখা এবং সাইলেন্ট মোড বা ডু নট ডিস্টার্ব মোড চালু করা ভালো।
মোবাইল ফোনের সঠিক অবস্থান এবং টিপস:
সোফা বা দূর টেবিলে রাখুন: ফোনটি বিছানার পাশের টেবিল বা সোফায় না রেখে একটু দূরের কোনো টেবিল বা আলমারিতে রাখুন। এতে ফোনের বিকিরণ সরাসরি আপনার শরীরের উপর প্রভাব ফেলবে না।
ফোন বন্ধ করুন বা ফ্লাইট মোড চালু করুন: যদি সম্ভব হয়, ফোনটি বন্ধ করে ঘুমাতে যান বা অন্তত ফ্লাইট মোড চালু করে রাখুন। ফ্লাইট মোডে ফোনের বিকিরণ নির্গত হয় না।
অ্যালার্ম সেট করলে দূরে রাখুন: যদি ফোনে অ্যালার্ম সেট করতে হয়, তবে ফোনটি একটু দূরে রেখে দিন, যেন রাতে যখন অ্যালার্ম বাজে তখন ফোন ধরতে আপনাকে উঠতে হয়। এতে মোবাইলের বিকিরণ থেকে দূরে থাকবেন এবং ঘুমের ব্যাঘাতও কমবে।
মোবাইল ফোনের ব্লু লাইটের প্রভাব কমাতে:
ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করুন: ঘুমানোর আগে ব্লু লাইট ফিল্টার বা নাইট মোড চালু করলে ফোনের নীল আলো কমে, যা মেলাটোনিন হরমোনকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে না।
বুক বা হালকা অ্যাক্টিভিটি: ঘুমানোর আগে ফোন স্ক্রল করার বদলে বই পড়া বা হালকা শিথিলকর কার্যক্রমে মনোযোগ দিন, যা ঘুম আসতে সাহায্য করে।
মোবাইল ফোন ঘুমের সময় কমপক্ষে ৩-৪ ফুট দূরে রাখা উচিত এবং সম্ভব হলে ফ্লাইট মোডে রাখলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার কমিয়ে ঘুমের মান উন্নত করা সম্ভব।