আমরা প্রায়ই রান্না করা খাবার একবারে শেষ না হলে তা সংরক্ষণ করি এবং পরে গরম করে খেয়ে নিই। কিন্তু জানেন কি, সব খাবার বারবার গরম করে খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে? এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো পুনরায় গরম করলে তাদের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। আসুন জেনে নিই কোন খাবারগুলো পুনরায় গরম করা বিপজ্জনক এবং কেন।
যে খাবারগুলো পুনরায় গরম করা ঝুঁকিপূর্ণ
চাল ও ভাত: ভাত গরম করলে অনেক সময় ‘ব্যাসিলাস সেরিয়াস’ নামক ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই ব্যাকটেরিয়া থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে যা বমি, ডায়রিয়া এবং পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ডিম: ডিমে প্রচুর প্রোটিন থাকে। বারবার গরম করলে প্রোটিনের গঠন পরিবর্তিত হয়ে বিষাক্ত যৌগে পরিণত হতে পারে। এটি হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
মুরগির মাংস: মুরগির মাংস পুনরায় গরম করলে প্রোটিনের গঠন ভেঙে যায় এবং তা হজমে জটিলতা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে এটি হজমের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আলু: আলু পুনরায় গরম করলে এতে ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম নামক ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে। যা খাদ্য বিষক্রিয়ার অন্যতম কারণ।
পালং শাক ও অন্যান্য সবুজ শাক: পালং শাক, লাল শাক বা অন্যসব শাক গরম করলে নাইট্রেট নষ্ট হয়ে যায় এবং এটি বিষাক্ত নাইট্রাইটে রূপান্তরিত হতে পারে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
মাশরুম: মাশরুমে থাকা প্রোটিন পুনরায় গরম করলে ভেঙে যায় এবং হজমে সমস্যা ও পেটব্যথার কারণ হতে পারে।
কেন পুনরায় গরম করা বিপজ্জনক?
পুনরায় গরম করার সময় কিছু খাবারের প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে খাবার অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে এবং হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া পুনরায় গরম করার ফলে কিছু খাবারে ব্যাকটেরিয়া বা বিষাক্ত যৌগ জন্মাতে পারে, যা খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
নিরাপদে বেঁচে যাওয়া খাবার খাওয়ার উপায়
ঠান্ডা না করে দ্রুত ফ্রিজে রাখুন: খাবার রান্নার পর বেশিক্ষণ বাইরে না রেখে দ্রুত ফ্রিজে রাখুন।
পুনরায় গরম করার সময় ভালোভাবে গরম করুন: খাবার পুরোপুরি গরম করুন যাতে সব ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়।
একবারের বেশি গরম না করা: একটি খাবার একবারের বেশি গরম করা এড়িয়ে চলুন।
খাবার সংরক্ষণে সতর্ক থাকুন: সংরক্ষণের নিয়ম মেনে চলুন এবং যত দ্রুত সম্ভব খাবার ফ্রিজে রাখুন।
বেঁচে যাওয়া খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। পুনরায় গরম করার আগে জেনে নিন কোন খাবারগুলো গরম করলে ক্ষতি হতে পারে। সুস্থ থাকতে সচেতন হন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।