শীতের শুরুতেই অনেকের জন্য একটি বিরক্তিকর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় গোড়ালি ফাটার সমস্যা। ত্বকের শুষ্কতা, মরা চামড়া জমে থাকা, বা সঠিক যত্নের অভাবে এই সমস্যাটি তীব্র আকার ধারণ করে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে সহজেই এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
নারকেল তেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার
নারকেল তেল ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা যোগায়। রাতে শোবার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি বা নারকেল তেল গোড়ালিতে লাগিয়ে মোজা পরে ঘুমালে শুষ্কতা অনেকটাই কমে যায়। এটি ত্বককে নরম রাখে এবং ফাটল সারাতে সাহায্য করে।
পাকা কলার প্যাক
পাকা কলা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। একটি কলা চটকে গোড়ালিতে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি গোড়ালির মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
অলিভ অয়েল ম্যাসাজ
হালকা গরম অলিভ অয়েল দিয়ে আলতো করে গোড়ালি ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বককে পুষ্টি যোগায়। নিয়মিত ব্যবহারে ফাটা গোড়ালির সমস্যা দ্রুত কমে।
দুধ ও মধুর প্যাক
দুধ ও মধু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। একটি পাত্রে দুধ ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বক নরম ও মসৃণ করে।
লেবু ও গ্লিসারিনের মিশ্রণ
লেবুর রস ও গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে গোড়ালিতে লাগান। এটি ত্বকের শুষ্কতা কমায় এবং ফাটল সারিয়ে তোলে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক মসৃণ ও নরম হয়।
চালের গুঁড়া ও আপেল সিডার ভিনেগারের স্ক্রাব
একটি প্যাক তৈরি করুন চালের গুঁড়া, মধু এবং আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে। এটি ত্বকের মরা চামড়া দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার
অ্যালোভেরা জেল ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামত করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। এটি ত্বকের শীতলভাব বজায় রাখার পাশাপাশি ফাটা গোড়ালি দ্রুত সারায়।
গরম পানির সল্ট সোক
গরম পানিতে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন। এটি রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং ত্বককে নরম করে। পা ধোয়ার পর তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
বেকিং সোডা সলিউশন
বেকিং সোডা মিশ্রিত পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলে মরা কোষ দূর হয় এবং ত্বকের ফাটল কমে। এটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে।
শীত আসার আগেই নিয়মিত এই ঘরোয়া যত্নগুলো নিতে শুরু করলে গোড়ালি ফাটার সমস্যায় আর ভুগতে হবে না। একটু যত্নেই ত্বক হবে নরম, মসৃণ, এবং সুস্থ।