শীতের রাতে উষ্ণতার সঙ্গী হয়ে ওঠে লেপ-কম্বল। আরামদায়ক ঘুমের জন্য এগুলোর সঠিক যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দীর্ঘসময় ধরে ব্যবহার করলে লেপ-কম্বলে ধুলো, জীবাণু বা গন্ধ জমতে পারে। এগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করলে এগুলো যেমন দীর্ঘস্থায়ী হয়, তেমনি স্বাস্থ্যকর থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক লেপ-কম্বলের যত্নের কিছু সহজ কৌশল।
লেপ-কম্বল পরিষ্কারের উপায়
নিয়মিত ধুলো ঝাড়ুন: লেপ-কম্বল ব্যবহারের পর নিয়মিত ধুলো ঝেড়ে নিন। এতে ধুলো-ময়লা ও জীবাণু জমতে পারবে না।
সূর্যের আলোতে শুকান: সপ্তাহে একদিন লেপ-কম্বল রোদে রাখুন। সূর্যের তাপে ব্যাকটেরিয়া ও দুর্গন্ধ দূর হয় এবং লেপ-কম্বল মোলায়েম থাকে।
শুকনো পরিষ্কার (ড্রাই ওয়াশ): ভারী লেপ বা কম্বল ধোয়ার বদলে ড্রাই ওয়াশ করান। এটি ফাইবার নষ্ট না করে লেপ-কম্বলকে নতুনের মতো রাখে।
ধোয়ার নিয়ম
হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন: কম্বল ধোয়ার জন্য হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। ভারী ডিটারজেন্ট ফাইবার নষ্ট করতে পারে।
ঠান্ডা পানিতে ধোয়া ভালো: গরম পানি ফাইবার দুর্বল করতে পারে। তাই ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা নিরাপদ।
মেশিনে ধোয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন: যদি ওয়াশিং মেশিনে ধুতে চান, তবে মেশিনের সেটিংস ‘ডেলিকেট’ বা ‘জেন্টল সাইকেল’-এ রাখুন।
সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি
ব্যবহারের পর ভাঁজ করুন: শীত শেষ হলে লেপ-কম্বল পরিষ্কার করে ভাঁজ করে সংরক্ষণ করুন।
অ্যান্টি-ময়েশ্চার ব্যাগ ব্যবহার করুন: লেপ-কম্বল সংরক্ষণের জন্য এমন ব্যাগ ব্যবহার করুন, যা ভেতরে আর্দ্রতা প্রবেশ করতে দেয় না।
ক্যাম্ফর বা নিমপাতা ব্যবহার: লেপ-কম্বলের মধ্যে নিমপাতা বা ক্যাম্ফর রাখলে পোকামাকড় ঢুকতে পারে না এবং তাজা গন্ধ বজায় থাকে।
বিশেষ টিপস
লেপ-কম্বল ব্যবহারের আগে ও পরে বারবার ঝাড়া দিলে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। বাজারে পাওয়া যায় এমন বিশেষ কম্বল পরিষ্কারক ব্যবহার করতে পারেন। পোষা প্রাণীর লোম বা ধুলো জমলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করুন।
লেপ-কম্বল যত্নের এই পদ্ধতিগুলো শীতকালে আপনার জীবনকে আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যসম্মত করে তুলবে। কারণ শুধু উষ্ণতা নয়, সঠিক যত্ন আপনার আরামদায়ক ঘুমের নিশ্চয়তা দেয়। তাই এই শীত মৌসুমে লেপ-কম্বলের সঠিক যত্ন নিয়ে উপভোগ করুন আরামদায়ক রাতের ঘুম।