তৈলাক্ত ত্বক হলে মেকআপের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ যত্ন নিতে হয়। সঠিক পণ্য এবং পদ্ধতি ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী ও সুন্দর হতে পারে। নিচে তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ করার জন্য কিছু কার্যকরী পরামর্শ দেওয়া হলো:
ত্বক প্রস্তুতি
ফেসওয়াশ: প্রথমে মুখ পরিষ্কার করতে একটি ভালো ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। অ্যালকোহল মুক্ত এবং তেল নিয়ন্ত্রণকারী ফেসওয়াশ নির্বাচন করুন।
টোনার: ফেসওয়াশের পর টোনার ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের পোরস্ ছোট করে এবং অতিরিক্ত তেল দূর করে।
ময়েশ্চারাইজার: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লাইটওয়েট, নন-কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে হাইড্রেট করে এবং তেল নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রাইমার ব্যবহার
ম্যাটিফাইং প্রাইমার: মেকআপের আগে একটি ম্যাটিফাইং প্রাইমার ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে মসৃণ করে এবং মেকআপের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে।
ফাউন্ডেশন
ফাউন্ডেশন নির্বাচন: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লাইটওয়েট, ম্যাটিফাইং বা পাউডার ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন।
এপ্লিকেশন: ব্রাশ, স্পঞ্জ অথবা ফিংগার টিপস দিয়ে ফাউন্ডেশন মেখে ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
কনসিলার
অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ: প্রয়োজনে কনসিলার ব্যবহার করুন, বিশেষ করে ব্রণ বা তৈলতেলে জায়গাগুলোতে। পাউডার কনসিলার বা ক্রিম কনসিলার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
পাউডার ব্যবহার
ফিনিশিং পাউডার: মেকআপ শেষ করার জন্য ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার ব্যবহার করুন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের তেল শোষণ করতে সাহায্য করে এবং মেকআপকে স্থায়ী রাখে।
আই মেকআপ
আইশ্যাডো: সেমি- ম্যাট বা ম্যাট আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। ক্রিমি বা ময়েশ্চারাইজড আইশ্যাডো স্থায়ী হতে পারে না।
লাইনার ও মাস্কারা: জলরোধী লাইনার এবং মাস্কারা ব্যবহার করুন, যাতে ঘাম বা তেলের প্রভাবে মেকআপের কোনো ক্ষতি না হয়।
ব্লটিং পেপার
মেকআপের স্থায়িত্ব: দিনের মাঝখানে তৈলাক্ত ত্বক হলে ব্লটিং পেপার ব্যবহার করুন। এটি অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং মেকআপকে সতেজ দেখায়।
ফিনিশিং স্প্রে
ফিক্সিং স্প্রে: মেকআপ করার পর একটি ম্যাটিফাইং ফিনিশিং স্প্রে ব্যবহার করুন। এটি মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করতে এবং তেলের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
তৈলাক্ত ত্বকে মেকআপ করা একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, তবে সঠিক পণ্য ও পদ্ধতি অনুসরণ করলে এটি সহজ হয়ে যায়। নিয়মিত ত্বক পরিচর্যা এবং উপযুক্ত পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী ও সুন্দর দেখা যাবে।