রাতের যে ১০টি অভ্যাস আপনার ঘুম নষ্ট করে

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। তবে, আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসগুলো মাঝে মাঝে আমাদের ঘুমের গুণগত মানকে প্রভাবিত করতে পারে। রাতে কিছু অভ্যাস রয়েছে, যেগুলো আমাদের ঘুম নষ্ট করে। নিচে সেই ১০টি অভ্যাস সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

১. মোবাইল ফোন ব্যবহার
রাতে মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করার ফলে ব্লু লাইট আপনার মস্তিষ্ককে সতর্ক করে তোলে, যা ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে ঘুমে যেতে দেরি হয়।

২. ক্যাফেইন গ্রহণ
রাতের বেলা কফি, চা বা কোনো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করা আপনার ঘুমকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ক্যাফেইন মস্তিষ্ককে জাগ্রত রাখে, যা গভীর ঘুমের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে।

৩. ওভার-ইটিং
রাতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ভারী খাবার খেলে পাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, যা ঘুমের গুণগত মান কমায়।

৪. দ্রুত খাবার খাওয়া
রাতের বেলা তাড়াহুড়া করে খাওয়া বা ঝটপট খাওয়া খাবারের জন্য সুস্থ ঘুমের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এটি পাকস্থলীর সমস্যাও তৈরি করতে পারে।

৫. মদ্যপান
রাতের বেলায় অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে প্রথমে ঘুম আসলেও, এটি গভীর ঘুমে প্রবেশের সুযোগ কমিয়ে দেয় এবং রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যায়।

৬. অতিরিক্ত আলো থাকা
রাতের বেলা ঘরের আলো বা টিভির স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা আপনার ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। কম আলো থাকা ঘুমে যেতে সহায়তা করে।

৭. চিন্তা করা বা উদ্বেগ থাকা
রাতে কাজের বা ব্যক্তিগত চিন্তায় উদ্বিগ্ন হওয়া, ঘুমে যেতে দেরি করে দেয়। চিন্তা মাথায় চলতে থাকলে ঘুম আসা কঠিন হয়ে পড়ে।

৮. একটানা বসে থাকা
রাতে দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। তবে এটি গভীর ঘুমের অভাব সৃষ্টি করে।

৯. ঘুমের সময় পরিবর্তন
ঘুমের সময়সূচী নিয়মিত না রাখা ঘুমের মান কমাতে পারে। রাতের বেলায় স্থির সময়ে ঘুমাতে যাওয়া শরীরের স্বাভাবিক ঘুমের প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।

১০. নেতিবাচক চিন্তা
রাতে নেতিবাচক চিন্তা বা উদ্বেগের কারণে ঘুম নষ্ট হয়। ভালো চিন্তা বা মেডিটেশন করার চেষ্টা করলে ঘুমের গুণমান বৃদ্ধি পায়।

ঘুমের অভ্যাসের প্রতি সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। উপরের অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চললে আপনি ভাল ঘুমের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। মনে রাখবেন, সুস্থ ঘুম স্বাস্থ্যকর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই রাতে এসব অভ্যাসের দিকে খেয়াল রাখুন এবং স্বাস্থ্যকর ঘুমের দিকে পদক্ষেপ নিন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *